• 23 Chamelibagh, Dhaka-1217
  • +88-02-9333543
  • bfdrms@gmail.com
In Publication

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : রোজ গার্ডেন টু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বঙ্গীয় ভূখ-ে রাজনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটাতে প্রথম যে দল জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায় তার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আজকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর দল গঠিত হওয়ার মুহূর্তের আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই এক নয়। সময়ের ব্যবধানের সঙ্গে সঙ্গে দলের অনেক কিছুই বদলেছে অথবা বদলাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন পূর্ব বঙ্গে গঠিত হয় গঠনকালীন সময়েই তা বৃহৎ দল হিসেবে পরিচিত ছিল। আজকের বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগ সর্ববৃহৎ দল। কিন্তু এই সর্ববৃহৎ দলের ট্র্যাজেটিও অনেক বড়, অনেক বেশি নির্মম। ইতিহাসের অসংখ্য রক্তাক্ত পথ পাড়ি দিয়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ঠিকই, তবে এই জন্য আওয়ামী লীগের শরীর থেকেও কম রক্ত ঝরেনি। বলতে গেলে এটাই সত্য যে, শুরুর দিকে যারা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারাই দেশ স্বাধীনের সময় সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তারা প্রায় সকলেই নিজের বুকের রক্ত দিয়ে স্বদেশকে স্বাধীন করার খেসারত দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর কোনো দেশের একটি রাজনৈতিক দল এত ভাঙাগড়া-দলন-নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে টিকে আছে কিনা তা আমার জানা নেই। আওয়ামী লীগের টিকে থাকার কারণ তার আদর্শবাদ ও সাংগঠনিক শক্তি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববতী ও পরবর্তী আর কোনো দল বাংলাদেশে নেই যার ভূমিকা আওয়ামী লীগের মতো এত সাহসী ও নির্ভীক। শুধু সাহসিকতা আর নির্ভীকতাই নয় আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, ধর্মনিরপেক্ষতা, শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থায়। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দলই এই তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য মনে প্রাণে ধারণ করে না। তাই ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন তারিখে ঢাকার রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আটষট্টি বছর অতিক্রম করছে এই দল।
২২-২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এই ২০তম কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাহিরে তৈরি হয়েছে নানারকম হিসেব-নিকেশ। বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনকে বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন। তবে সকলেই মোটামুটি একটি বিষয় প্রত্যাশা করেছেন যে, নতুন কমিটিতে যেন দুর্বৃত্তরা ঢুকতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং আগামী দিনের কঠিন মুহূর্তগুলো যারা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে দল যেন তাদেরকেই মূল্যাযন করার চেষ্টা করে। এ রকম দাবি আমিও বহুদিন ধরে বিভিন্ন প্রবন্ধে-নিবন্ধে-কলামে করে আসছি। সুতরাং অন্য সবার মতো আমিও চাইÑ সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের দলে বেশি বেশি স্থান দিতে হবে সেই সাথে দলছুট, হাইব্রিড নেতাদের যথাসম্ভব পরীক্ষার ভেতর দিয়ে গ্রহণ-বর্জন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচনের কথা মনে রাখা দরকার। সেই নির্বাচনে কতিপয় দুর্বৃত্তের কারণে ও বিএনপি-জামায়াতের আসন ভাগাভাগির চক্রান্তে আওয়ামী লীগ সর্বাধিক ভোট পেয়েও আসনসংখ্যায় হেরে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। বেনোজলে অনেক কিছুই ভেসে আছে। প্রয়োজনীয় পলি যেমন আসে আবার লবণও আসে। মনে রাখা দরকার, পলিই ভূমিকে উর্বর করে, লবণ নয়। সুতরাং সঠিক নেতৃত্ব কেবল সঠিক নেতার পক্ষেই সম্ভব, তাই নেতা মনোনীত করা আসলেই একটি কঠিন বিষয়।
বাংলাদেশের সব মানুষ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন নিয়ে যেমন করে ভাবছে, আমার ভাবনাও ঠিক তেমনই। এক সময় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলাম। দলের অনেক নীতি-নির্ধারণেরও গৌরবময় অংশীদার ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতির বাইরে থাকলেও এটা ভুলে যাইনি আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের নির্মাতা। আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশ সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভার। বঙ্গবন্ধুর আরেক নাম যদি বাংলাদেশ হয়, তাহলে আওয়ামী লীগেরও আরেক নাম হওয়া উচিত বাংলাদেশের নির্মাতা বা বাংলাদেশের বিনিন্দ্র রূপকার। আজ বঙ্গবন্ধুর পরে বিশ্বব্যাপী যেই নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তার নাম ‘শেখ হাসিনা’। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা বেয়াদবির সামিল বলেই আমি মনে করি। কিন্তু এ কথা আজ বলতে বোধহয় অতুক্তি হবে না যে, দেশনায়ক বঙ্গবন্ধু ও দেশনায়ক শেখ হাসিনা দু’জনেই আজ বিশ্ববরেণ্য। শুধু তাই নয়, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা বঙ্গবন্ধুর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বঙ্গবন্ধুর পা ধরলেই সব অপরাধ ক্ষমা পেয়ে যেত, কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমা করেন বিচার-বিশ্লেষণ করে। কারণ বঙ্গবন্ধু ছিলেন ‘ঞড়ড় মড়ড়ফ ধহফ মৎধপরড়ঁং’
পূর্বেই বলেছি, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের আর সকল পার্টিই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের মতোন। বেশির ভাগ পার্টিই জন্ম হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে ও অন্ধকারে। তাদের পেছনে ছিল ক্ষমতার লোভ, নয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থতা। যার ফলে দেখা গেছে সে সব পার্টি কিছুদিন ঢাক-ঢোল পেটালেও এক সময় ঠিকই নিস্তেজ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ থেকে ছুটে গিয়েও কেউ কেউ নতুন নতুন দল তৈরি করেছেনÑ নতুন পার্টির নেতা হয়ে পত্র-পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্য হলো, যে সব নেতারা আওয়ামী লীগে থেকে এম.পি-মন্ত্রী হতেন, রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্য ছিলেন তারা যখন নিজ নিজ দল গঠন করে নির্বাচন করতে লাগলেন, তখন তারা শুধু হারলেন না, নির্বাচনে তাদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল। এ থেকেই প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ হলো বহতা নদীর মতো। এই বিশাল-বিপুল নদী থেকে দুই-এক ফোঁটা জল এদিক-সেদিক হলে নদীর অবয়বগত যেমন পরিবর্তন হয় না, তেমনি নদীর গতিপথও বদলায় না। বরং যে দুই-একটা ফোঁটা পানি এদিক-সেদিক হয়, তারাই কিছুদিন পরে শূন্যে মিলিয়ে যায়। উদাহরণ দিলে এমন উদাহরণ চারপাশে অভাব নেইÑ কিন্তু কারো নাম না নেওয়াই নিরাপদ বোধ করছি। কেননা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজ আর শত্রু বাড়াতে চাই না।
পত্র-পত্রিকায় দেখছি, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন-২০১৬-কে কেন্দ্র করে এবং সেখানে শেখ পরিবারের কিছু নতুন মুখ কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কেউ ‘ডাইন্যাস্টির’ প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এ প্রসঙ্গেই আমি মূলত দুই-একটি কথা বলতে চাই। পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি ডাইন্যাস্টি দেখা যায়। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, চীন, ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভূটান, থাইল্যান্ড কোথায় ডাইন্যাস্টি নেই? সবখানেই ডাইন্যাস্টির প্রাধান্য। ডাইন্যাস্টি ছাড়া রাজনীতি নেই। অতীতেও ছিল না, বর্তমানেও নেই। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাও তার নানা আলিবর্দি খাঁ-র (মাতামহ) উত্তরাধিকারী ছিলেন। সুতরাং ডাইন্যাস্টি খারাপ কিছু নয়। এটা তখনই খারাপ হয় যখন কুলাঙ্গার কোনো উত্তরাধিকারীর হাতে গিয়ে ডাইন্যাস্টির ভার অর্পিত হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে বাংলাদেশে তখন বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা নিষিদ্ধ করা হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে দীর্ঘ ছয় বছরের দুর্বিষহ নির্বাসন জীবন শেষে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের ভার গ্রহণ করেন। সেই সময় রক্তের উত্তরাধিকার আর আদর্শের উত্তরাধিকার নিয়েও যে প্রশ্ন ওঠেনি তা নয়, বরং অনেক জোরেশোরেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কেউ কেউ। কিন্তু তারা বেশি দূর এগোতে পারেননি, মুখ থুবরে পড়ে গেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ পনেরো বছর পর দল ক্ষমতায় আসে। মাঝখানে ঘটে আরো অনেক ষড়যন্ত্র। সে সব কৌশলে ও ধৈর্য সহকারে প্রতিহত করে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয় এবং এখন দেশের ও বিশ্বের নেতৃবৃন্দের সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত আছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। এই আওয়ামী পরিবারেই আবার যুক্ত হচ্ছে এক ঝাঁক নতুন মুখÑ যারা একই সঙ্গে রক্তের উত্তরাধিকারী তো বটেই, আবার আদর্শের উত্তরাধিকারীও। সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আজ তারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়েছে স্বীয় যোগ্যতার বলে। শেখ রেহেনার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সে লন্ডনে লেখাপড়া শিখেছে। টিউলিপ ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট মেম্বার ও লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত। অন্যদিকে রূপন্তী সেও অক্সফোর্ড থেকে নিজের পঠিত বিষয়ে অর্জন করেছে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। আজ শেখ পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম প্রত্যেককেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। বাংলাদেশের মানুষ এতদিন ‘এইট পাশের’ কলঙ্কে ¤্রয়িমান ছিলÑ এবার অক্সফোর্ড পাশ করা লিডারের লিডার শিপে গৌরববোধ করবে।
শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে যাননি। জনগণই শেখ হাসিনাকে দলের প্রধান ও পরবর্তীতে সরকারপ্রধান করেছেন। আজ যদি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহেনার পুত্র ববি, সোহেল তাজের মতো তরুণ নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে দলের কাউন্সিলর হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমন কি শেখ রেহানা নিজেও যদি রাজনীতিতে আসেন, তাতেও বাংলার মানুষ বিস্মিত হবে না। বরং বাংলার মানুষ এই ভেবে খুশি হবে যে, আর যাই হোক বিএনপির তারেক রহমানের মতো তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে উড়ে এসে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দখল করেনি।
একটু পেছনে গেলে দেখা যাবে, বঙ্গবন্ধুর আমলেও ডাইন্যাস্টির প্র্যাকটিস ছিলÑ সেরনিয়াবাত, শেখ ফজলুল হক মণিÑ এরা কিন্তু সে সময় কম প্রভাবশালী ছিলো না। আজকের দিনে শেখ সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ হেলালÑ এরা তো আছেনই। এমনকি বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ সুহৃদ ইলিয়াস আহম্মদ চৌধুরী দাদা ভাইয়ের দুই পুত্রÑ লিটন চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীর কথাই কেন বাদ যাবে। নিক্সন চৌধুরী যতটা না রাজনৈতিক শক্তিতে তার চেয়ে ডাইন্যাস্টির জোরেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে। রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদের পুত্র-কন্যাগণও এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ডাইন্যাস্টি খারাপ কিছু নয়Ñ যদি এর উদ্দেশ্যে ভালো হয়। ডাইন্যাস্টি ছাড়া কখনো কখনো দেশ ও দল দারুণ হুমকির মুখে পড়ে। এখন যেমন পড়েছে বিএনপি। বিএনপি-খালেদা জিয়ার পরে তারেক রহমান অনেক সম্ভাবনা নিয়ে দেখা দিলেও সে এখন অনেকটাই ম্লান। তারেকের বিদ্যা-বুদ্ধি ও কুসঙ্গ তারেক রহমানকে বিপথগামী করেছে। সেখান থেকে সে আর মুক্তি পাবে কিনা কে জানে। আর তাছাড়া তারেক রহমানের অশালীন মন্তব্যে ও খাম খেয়ালি ব্যবহারে বাংলার মানুষ ভীষণ বিরক্ত। প্রথম প্রথম তারেককে দেখে যারা সমর্থন দিয়েছিল বা দেবার মনস্থ করেছিল, এখন তারা অনেকেই তারেকের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারেক ও মৃত কোকোর চৌর্যবৃত্তির কথা নাই বা বললাম।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর শুধু বাংলাদেশিদেরই নয়Ñ বিশ্ববাসীরও দৃষ্টি কেড়েছে, এই দুইজনের বাংলাদেশ সফর এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করছে যে, বাংলাদেশ আসলেই এগিয়ে চলছে। সময় এখন আওয়ামী লীগের। আগামীতে যারা আওয়ামী লীগের হাল ধরবেÑ এরা হবে দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, শিক্ষিত, সৎ, নির্লোভ ও আদর্শবান মানুষ। এদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে মানুষের সার্বিক অধিকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সফল হোক, এই সম্মেলনের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসুক আগামী দিনের বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব।
১৮ অক্টোবর, ২০১৬

Leave a Reply

Send Us Message

*

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>